কেউ এই blog এ তাদের লেখা publish করতে চাইলে লেখা টি নিজের নাম উল্লেখ করে kheyali.kalom@gmail.com এ পাঠিয়ে দিন I লেখার হরফ বাংলায় হওয়া বাঞ্চনীয় I লেখা যা ইচ্ছে হতে পারে ( কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ ইত্যাদি ) I

Wednesday, July 16, 2014

কয়েকটা প্রশ্ন মাত্র

এখনো কি আগের মতোই আছে অরুণিমার ঠোঁট ?
খুব জানতে ইচ্ছে করে।
সে ঠোঁটে আঙুল ছোঁয়ালে কি এখনো প্রেমের
বলবৃদ্ধি ঘটে ?
আমার ঠোঁটের অপেক্ষায় থেকে সে ঠোঁট কি তেষ্টায়
এতদিনে ফুটিফাটা ?
ঠিক বলছ ?
ভেসলিন লাগিয়ে ভাব-ভালোবাসার হাবভাব গুলো লুকিয়ে ফেলেনি এখনো?

এতদিন পরে এত্তসব জানতে চেয়ে অবাক লাগছে নিজেরই ।
কিন্তু এসব ডিটেল আচমকাই আবারো ভাল লাগছে ।
ভীষণ ভালো লাগছে , তাই জানতে চাইছি ।

Saturday, July 12, 2014

অবিচারের বিচার

এতদিন পরে পিছনে তাকালে দেখি
বহু অবিচার করা হয়ে গেছে,
জানিতে - অজানিতে।

একদিন ঠিক বিবেক ও বোধ জাগবে আমার
এ আশায় রয়ে গেছে অনেকেই ।
খুব দেরী হচ্ছে দেখে অস্ফুটে ডেকেছেও ;
চোখ - কান বন্ধ ছিল - শুনতে পাইনি ।
তাছাড়া পিছনে তাকালে সামনে হোঁচট খাবার ভয়ও ছিল বহু  ।

বিচারবুদ্ধি ইত্যাদি জেগেছে যখন
ফিরতে চেয়েছি , সৎ ভাবেই ।
তবু থেমেছি ফিরে যাওয়ার পথে,
ফিরে যাব বলে  পাকাপাকি ভাবে  ভাবার পরেও
ভেবেছি দুবার -
এখন ফিরতে গিয়ে আবারো নতুন কোনও অবিচার হবে না তো ?

Wednesday, July 9, 2014

বোধহয় জ্যামিতি (২)

আমি দু পা সরে এসেছি ,
তুমি তিন,
সে চার পা সরে গেছে ।


কে আগে সরতে পারছে , এবং কতো বেশি
এ নিয়ে দম্ভের লড়াই ছিল ,
যদিও শীতল ।

আমরা সরে আসতেই আমাদের সেই ত্রিমাত্রিক পৃথিবীটা
মাত্রা ছাড়াল ।
ঘাড় তুলে উঁকি দিলো সীমার বাইরে ,
ই- কারের মতো করে ।

লিকারে আমি- তুমি ,
বিকারে সে -
পৃথিবীটা হঠাৎ বড় হয়ে গেল -
আকারে - ব্যবহারে ।

Tuesday, July 8, 2014

বোধহয় জ্যামিতি (১)

বন্ধু বৃত্ত ক্রমে বহুভুজ হয় ।
যতো টেনশন বাড়ে ও দর কষাকষি ,
কিনারা স্পষ্ট হয় ততো বেশি ।
কিনারেই এসে দাঁড়ায় সবাই ।
কিভাবে যেন মন কষে যায় ,
একে একে সব খসে যায় ,
বেঁচে থাকে শুধু শুদ্ধ - মুক্ত
বিশুদ্ধ বোকা সরলরেখা ।
অনেক সরলরেখা, প্রত্যেকে একা ,
যত্রনায় বেঁকে গিয়ে আরও ছোট বৃত্ত সৃষ্টি করে ।

Sunday, April 27, 2014

অসময়ে ক’টা কথা

লেগাসি মাঠে ডিম পাড়লে
আমোদ হয় ,
তবে মোটেই তা অমলেটের লোভে নয় ।

অন্য ঘরের বিভীষণ বিভূষণ হলে
মনে ভাবি -
ওহ , এটাই তাহলে সেই চাবি !

ঠাকুর ডেকেছি দুবেলা,
শুমাখার এবারে যেন চোখ খোলে ।
নিন্দুকের সওয়াল -
কেন সরদারজি তোমায় তোলেন নি বলে ?

ভুল করে ওই একবারই বলা -
আহা গন্ধমাদন ! সেই বিশল্যকরণী র দেশটা !
খেঁকিয়ে জবাব আসে -
অহো ! কুলেখাড়াকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা ?

বেজায় গরম
দুপুরে তাই ডাল -ভাতই সই ।
বাজার বললে –
তা তো হবেই ! কে আর খাচ্ছে কৈ !

সবারই মাথা আউট ,
তাই কাজের কথাকে কাটছে ।
শোন খোকা – ওই পথ !
যারা ঘেঁটে আছে , তারা হাঁটছে ।

Saturday, April 26, 2014

লোডশেডিং

অবিন্যস্ত শাড়িই হতে পারে
এই লেখাটার সবথেকে ভালো বিজ্ঞাপন।

দু ফোঁটা ঘাম পড়লেও
এখন শব্দ পাওয়া যায়।

আজ যেন ভোটযুদ্ধ বাকযুদ্ধ
সব একদম চুপ।

কথা দেওয়া ছিলো
সাড়ে এগারোটায় অনলাইন হবো-
বারোটা বাজতে চললো প্রায়।
দেখা হলে বুঝিয়ে বলবো
menage a trois এর মানে।

তৃতীয় বিশ্ব
আর কিছু না হোক
বংশানুক্রমে লোডশেডিং পেয়েছে ।

Friday, April 18, 2014

আমার চোখ , আকাশের চোখ

আকাশ কষ্ট পেলে ভাবি -
এবারে নির্ঘাত বর্ষা ;
অতএব পুরনো ঘামাচিদের ম্রিত্যু নিশ্চিত ।
কিন্তু কোথায় কি !
আকাশের চোখে   জলই নেই একেবারে ;
ধুলোয় টাটিয়ে উঠে শাবলের গুঁতোয় ভেঙে যাওয়া
ইটের মাংসের মতো লাল ।
আমি সিঁদুর চিনি না,  হিমোগ্লোবিন  চিনি না ।
আমরা কেউই রাগ- দুঃখের লাল, লজ্জার লাল , স্বাস্থ্যের লাল
ভালো বুঝি না ।
লাল দেখলে শুধুই দোলা লাগে গভীরে কোথাও ,
আশার আঁচে বাঁচি -
কষ্টবিলাসে  শখের বর্ষা না নামুক ,
পর্দা সরলে সুখের সকাল দেখা দেবে একেবারে